ডিজিটাল ক্যামেরা কিনতে হলে


ডিজিটাল ক্যামেরা দিন দিন সুলভ হয়ে পড়ছে। হাজার দশেক টাকায় বেশ ভালো ক্যামেরা পাওয়া এখন সহজ। বিভিন্ন ব্যা্রন্ডের ক্যামেরা সুলভ যেমন হচ্ছে, গুনগৎমান আর ফীচারও বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে। 

অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, "বল দেখি কোন ক্যামেরাটা কিনি ?" । আমি সচরাচর ইন্টারনেট দেখে যা-তা একটা বলে দেই। কিন্তু ধরা খেলাম নিজেরটা কিনতে গিয়ে। একটা ভালো ক্যামেরা কেনা আসলেই কঠিন! 

আমি বিশেষজ্ঞ নই। তবে কিছু টিপস দেবার লোভ সামলাতে পারছি না। 


ক্যামেরা পড়ে, আপনি আগে 
---------------------------------------- 
কোন কিছু বলার আগে বলে নেই, ভালো ছবি ক্যামেরার জন্য হয় না, ক্যামেরা পিছনের মানুষটির জন্য হয়। যদিও ফোটোগ্রাফীর কারিগরি দিক সম্পর্কে বেশ ভালো জানলে কিছু কেরামতি করা সম্ভব। এখনকার প্রায় সব ক্যামেরাই ভালো ছবি তোলা উপযুক্ত! 

আগে ঠিক করুন কি চান ঃ এসএলআর না কমপ্যাক্ট 
---------------------------------------- 
ক্যামেরার ভালো মন্দ আসলে আপনার হাতে। আপনি ফোটোগ্রাফী পাগল হলে এসএলআর ভালো লাগা স্বাভাবিক। আবার বাইরে বেড়াতে গিয়ে টুকটাক ছবি তোলার ধান্দা থাকলে, হালকা পুলকা ছোট একটা কমপ্যাক্ট ক্যামেরাই হয়তো পছন্দ হবে আপনার। তাই মন ঠিক করুন। এসএলআর সাইজে বড়, চালানো জটিল, কারিগরি বিষয় না জানা থাকলে বিপদে পড়বেন। কমপ্যাক্ট ক্যামেরা ছোট সাইজের, টিপ দিলেই ছবি উঠবে, সোজা সাপ্টা ব্যবহার। এসএলআর ক্যামেরার মাহত্ব্য তখনই ধরা দেবে যখন আপনি কারিগরি দিক সম্পর্কে ভালো জানবেন। আইএসও স্পীড, শাটার স্পীড আর অ্যাপারচার কমা-বাড়ার অর্থ যদি আপনি না বুঝেন তাহলে এসএলআরের কথা ভুলে যান। পরবর্তী অংশে আরও বিশদ ভাবে দেখব এটা। 

মেগা পিক্সেল ম্যানিয়া 
---------------------------------------- 
সেদিন একভদ্রলোকের বাড়ি ডিনারে গেছি। কার একটা ক্যামেরা দেখে উনি প্রথম সুধালেন কতো মেগাপিক্সেল। মানতেই নারাজ যে আরও কিছু বিষয় আছে ক্যামেরার কদর করার। মেড়াপিক্সেল এক সময় বেশ গুরুত্বপূর্ন ছিল। তখন ডিজিটাল ক্যামেরার কেবল জন্ম হয়েছে। আমার প্রথমটা ছিলো 0.85 মেগা পিক্সেল! সময়ের সাথে সাথে এখন 10/12 মেগা পিঙ্লে বাজারে হাজির হয়েছে। সত্যি বলতে 5 মেগা হলেই যথেষ্ট। যতো বেশী মেগা পিক্সেল ততো বড়ো প্রিন্ট আউট নেওয়া যাবে। ছবির কোয়ালিটির সাথে এর কোনই সম্পর্ক নেই। 5 মেগাপিক্সেল এ বেশ ভালো 12 বাই 18 ইঞ্চি প্রিন্ট নেওয়া যায়। 90% মানুষ এর বাইরে ছবি বড়ো করেন না। তাই ক্যামেরা কিনতে গিয়ে মেগা পিক্সেল নিয়ে না ভাবাই ভালো, কারন এখন 5 প্রায় স্ট্যানডার্ড হয়ে গেছে। 

ভেবে দেখুন ঃ ব্র্যান্ড না প্র্যাকটিক্যালিটি 
---------------------------------------- 
ক্যামেরা কিনতে গিয়ে অনেকেই সনি কিনে ফেলেন। সনি খুবই ভালো ক্যামেরার একটা। কিন্তু এর অ্যাকসেসরি গুলোর দাম বেশী এবং আনকমন। তাই কেনার আগে দেখা দরকার আপনি ব্যান্ড দেখে কিনবেন না, সহজে ও সুলভে অ্যাকসেসরি পাওয়া যায় এমন প্র্যাকটিকাল ক্যামেরা কিনবেন। আমি ক্যানন পাওয়ার শট এসটু আই এস কিনেছিলাম কারন ঃ এটা সাধারন 4টা ডাবল-এ ব্যাটারীতে চলে আর ছবি স্টোর করেত সুলভ এসডি কার্ডে । বাজারে অনেক চমৎকার ক্যামেরা আছে যেগুলো স্পেশাল ব্যাটারী ছাড়া চলে না, চিন্তা করুন ব্যাটারী নস্ট, আপনার ক্যামেরাও বেকার! আবার ধরুন ফুজি আর সনির কথা, ফুজি এক্স-ডি কার্ড (এসডি নয়) আর সনি মেমোরী স্টিক ব্যবহার করে। এদুটোই বেশ দামী আর পাওয়া যায় কম। পক্ষান্তরে এসডি কার্ড খুবই সস্তা, 1গিগা কিনলাম সেদিন মাত্র 2500টাকা দিয়ে! এসডির মতো সিএফ কার্ডও বেশ সস্তা-সুলভ, তবে ওপথে না গেলেই ভালো। 

ঝাপসা ছবি না চাইলে 
---------------------------------------- 
আলো কম থাকলে, জুম করলে কিংবা শরীর কাপলে ছবি ঝাপসা হয়ে যায়। শখের ছবি কে ঝাপসা দেখতে চায় বলুন? তাই দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হবেঃ হাই আইএসও স্পীড আর ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন। আমার টার আইএসও স্পীড মাত্র 400। নতুন গুলো 800 থেকে 1000 হয়ে থাকে। এটা যতো বেশী হবে ক্যামেরা ততো বেশী কম আলোতে ভালো ছবি তুলতে পারবে। তার মানে কি? রাতে স্ট্রীটল্যাম্পের আলোয় কিংবা সূর্যাস্তের পর আধো অন্ধকারে ফ্ল্যাশ ছাড়াই ন্যাচারাল ছবি তোলা যাবে। ফ্ল্যাশ না জ্বেলে তুললে যে ছবি অনেক সুন্দর হয় তা সবারই জানা। হাই আইএসও স্পীড এ সাটার স্পীডও বেশী দেওয়া যায়। তাই কম আলোতেও বেশী সাটার স্প ীডে ছবি তুললে ঝাপসা হবার সম্ভাবনা কমে যায়। ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন আরেকটি গুরুত্বপূর্ন ফীচার। জুম করে বা কম আলেতে ছবি না তুললে এটার মহিমা বোঝা যাবে না। ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশান থাকলে, ক্যামেরা হালকা কেপে গেলেও ছবি ঝাপসা হয় না (অবশ্যই একটা সীমার মধ্যে)। ক্যানন আইএস, প্যানাসনিকের (লুমিক্স) মেগাওআইএস আর সনির স্টেডিশট ফীচার ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনে র নিশ্চয়তা দেয়। 

বেশী জুম বেশী মজা 
---------------------------------------- 
জুম হল এমন একটা ফীচার যা মোটামুটি সবাই ব্যবহার করতে পারে। ক্যামেরা কিনলে অপটিক্যাল জুম দেখে নেবেন। ডিজিটাল জুম কাজের না। অনেক ক্যামেরায় অপটিক্যাল আর ডিজিটাল গুন করে মোট জুম লেখা থাকে। ধরা খেতে পারেন তখন। মনেকরে অপটিক্যাল জুম দেখে নিন। এখন 12এক্স অপটিক্যাল জুম পাওয়া যায়। যতো বেশী জুম থাকবে, দূরের বস্তু ততো কাছে দেখা যায়। পাখির ছবি তোলার জন্য জুম কিংবা দূর থেকে কোন কিছুর ছবি তুলতে জুম খুবই কাজে দেয়। জুম লেন্স এ ছবি তোলা মজাই আলাদা। পারলে কমপক্ষে 8এক্স জুম ওয়ালা ক্যামেরা কিনুন। 


ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের কেরামতি 
---------------------------------------- 
এসএলআর ক্যামেরায় ম্যানুয়াল কন্ট্রোল থাকে। তার অর্থ আপনি শাটার স্পীড (কতক্ষন ধরে সেনসরে আলো পড়বে), অ্যাপারচার (কি পরিমান আলো সেনসরে পড়বে), আইএসও স্পীড (সেনসরের সংবেদনশীলতা), ফোকাস এসব নিজের মতো বদলাতে পারবেন। কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় এসব ক্যামেরা নিজেই ঠিক করে আপনি টেপা ছাড়া কিছু করেন না। সাধারন কাজের জন্য কমপ্যাক্ট ক্যামেরাই যথেষ্ট । কিন্তু আপনি যদি শাটার স্পীড আর অ্যাপারচারের কারিগরি জানেন তাহলে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন। যেমন আমার ক্যামেরায় কম আলোতে ছবি ঝাপসা আসছিলো। শেষে কম আইএসও-তে (50) বেশী স্পীডে (6) আর কম অ্যাপারচার (2.7) সেটিং দিয়ে ঝাপসা হওয়া বন্ধ করালাম। এই সেটিং অটো ক্যামেরায় কখনওই আসবে না! 

যারা ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের ভক্ত তাদের দুটো পথঃ প্রোসিউমার গ্রেডের ক্যামেরায় যাওয়া না হলে রিয়েল এসএলআর এ যাওয়া। আমার ক্যানন পাওয়ার শট এসটু আইএস প্রোসিউমার গ্রেডের। বেশী বড় না, অনেক ম্যানুয়াল কন্টো্রল আর ফিঙ্ড লেনস। দাম এসএলআর এর তুলনায় কম (কমপ্যাক্টের চেয়ে ঢেড় বেশী যদিও) । রিয়েল এসএলআর হয় বেশ বড়, বিভিন্ন রকম লেনস (জুম, টেলি, ওয়াইড, ক্লোজআপ) লাগানো যায়, আলাদা ফ্ল্যাশ লাগানো যায়, প্রায় সবকিছুই ম্যানুয়ালি করা যায়, পিকচার কোয়ালিটি হয় প্রফেশনাল গ্রেডের। তবে এদের জন্য খরচ করতে হয় প্রচুর। ট্যাক ভারি না হলে ওপথে যাওয়া ঠিক নয়। ফোটোগ্রাফীর কারিগরি বিষয় না বুঝলে এসএলআর কেনান চেষ্টা করবেন না। কারন এর ব্যবহার জটিল, পকেটে নিয়ে ঘোরার মতোও না। 


এলসিডি ডিসপ্লেঃ বড় না ছোট 
---------------------------------------- 
আমি আমার ক্যাননের ভিউফাইন্ডারটাতেই ছবি দেখতে পছন্দ করি। আমার স্ত্রী আবার ডিসপ্লেতে না দেখে ছবি তোলেন না। আমার কাছে তাই এলসিডির সাইজ বড় না, কিন্তু আমার স্ত্রীর কাছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এখন 2 থেকে 2.5 ইঞ্চি এলসিডি ওয়ালা ক্যামেরা পাওয়া যায়। ছবি তোলার পর বন্ধুদের দেখানো জন্য বেশ কাজে দেয়। তবে ব্যাটারী খতম করতে এর জুড়ি নেই। 

অটোফোকাস না ফিক্সডফোকাস না ম্যানুয়াল ? 
---------------------------------------- 
ফিক্সফোকাস ক্যামেরা সস্তা। খারাপ নয়। তবে এদের ফোকাস করার ক্ষমতা স্থির বলে কিছু সীমাবদ্ধতা চলে আসে। অন্যদিকে অটোফোকাস ক্যামেরা নিজে নিজে ফোকাস করে। জুম লেনস ওয়ালা ক্যামেরায় এটা খুবই দরকারী। কিনলে অটো ফোকাস সহই কেনা উচিত। ম্যানুয়াল ফোকাস থাকে কেবল ভালো গ্রেডের ক্যামেরায়। আপনি এক্সপেরিমেন্ট না করতে চাইলে এটা নিয়ে ভাববার কিছু নেই। 


কিছু রেকমেন্ডেড ক্যামেরা 
---------------------------------------- 

প্রোফেশনাল গ্রেডঃ 
ক্যানন ই.ও.এস 350ডি, 
নিকন ডি70এস, 
নিকন ডি 50, 
সনি সাইবার শট ডি.এস.সি আর-1, 
প্যানাসনিক লুমিক্স ডি.এম.সি-এফজেড-30 

মহাউৎসাহী গ্রেডঃ 
ক্যানন পাওয়ার শট এস-2/3 আই এস, 
সনি সাইবার শট ডি.এস.সি এইচ-1, 
প্যানাসনিক লুমিক্স ডি.এম.সি-এফজেড-20, 
নিকন কুলপিক্স এস-4 

"এমনি এমনি ছবি তুলি" গ্রেডঃ 
সনি সাইবার শট ডি.এস.সি টি-9, 
ক্যানন পাওয়ার শট এ520 
নিকন কুলপিক্স 5600 

By Graphic Media (https://www.facebook.com/graphic.media.online)

ইফতারের পর ক্লান্তি লাগে? ক্লান্তি দূর করতে মনে রাখুন ছোট্ট ৫ টি টিপস


সারাদিন এতো লম্বা সময়ের রোজা রাখার পর ইফতার শেষে একেবারেই গা এলিয়ে পড়ে। রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে দেহে। ইফতারের পর থেকে রাতের খাবারের সময়টুকু যেনো এক নিমেষেই ফুরিয়ে যায় এই ক্লান্তির জন্য। অন্য কিছু করার উপায়ই থাকে না। যাদের বাধ্য হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হয় তারা খুব ভালোই বোঝেন এই যন্ত্রণাটা। তবে খুব সহজেই ইফতারের পরের এই ক্লান্তি দূরে রাখতে পারবেন। অবাক হচ্ছেন? ইফতারের পর দেহে এনার্জি পাওয়ার দারুণ কিছু কৌশল জেনে নিন আজকে।

১) একসাথে একগাদা খাবার খাবেন না
ইফতারের পর খুব বেশি ক্লান্ত বোধ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে ইফতারে একগাদা খেয়ে পেট ভারী করে ফেলা। এই কাজটি করবেন না। এতে দেহ একেবারেই ভেঙে পড়ে। অল্প করে খান, একটু পর পর খান। দেখবেন দেহে আগের মতো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না।

২) প্রচুর পানি পান করুন
দেহে ক্লান্তি ভর করার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়া। ইফতারে সকলেই ভাজাপোড়া ও ভারী খাবার খেয়ে একেবারেই গা এলিয়ে দিয়ে পড়েন। সারাদিন শেষে প্রথমেই প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। এবং ইফতারের ভাজাপোড়া কমিয়ে পানীয় এবং ফলমূল বেশি রাখুন, দেখবেন ক্লান্তি উবে গিয়েছে।

৩) চা/কফি
সারাদিন শেষে একটু চা/কফি পান করে নিতে পারেন দেহের ক্লান্তি দূর করার জন্য। কারণ ক্যাফেইন বরাবরই আপনাকে সজাগ রাখে। তবে লক্ষ্য রাখবেন চা/কফি যেনো কড়া না হয়ে যায় এবং অবশ্যই পরিমাণে অল্প হয়।

৪) বাইরে একটু হেঁটে আসুন
ইফতারের পর সকলেই খাবার খেয়ে বিছানায় ধপাস হতে পারলেই বাঁচেন। কিন্তু এতে ক্লান্তি বাড়েই, কমে না। এর চাইতে ইফতারের পর একটু বাইরে হেঁটে আসুন, অন্তত মিনিট দশেকের জন্য। এতে তাজা হওয়ায় অনেকটাই ক্লান্তি দূর হবে, সেই সাথে খাবার হজমও ভালো করেই হবে।

৫) নামাজ পড়ুন
নামাজ হচ্ছে সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। ইফতারের পর ক্লান্তি দূর করার খুব ভালো উপায় হচ্ছে নামাজ পড়ে নেয়া। যারা ইফতারে খেজুর মুখে দিয়ে নামাজ পড়ে নেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় কম ক্লান্ত থাকেন। যদি এই কাজটিও না করেন তাহলে ইফতার শেষেই নামাজ পড়ে নিন। ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। Web Desk

অশ্লীলতা রোজাকে দুর্বল করে দেয়


মাহে রমজান পবিত্রতম অধ্যায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিন বান্দা রমজানের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজের আত্মা ও সত্তাকে পবিত্র করে তুলবে সে জন্য রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। কিন্তু শুধু রোজার বাহ্যিক অনুশীলনটাই আত্মার পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে কিছু বৈষয়িক বিধিনিষেধ মান্য করাও জরুরি। বাহ্যিকভাবে কেউ সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় ও যৌনতা বর্জন করলে মাসআলা অনুযায়ী তার রোজা হবে। কিন্তু নিজের আত্মাকে পবিত্র করে তুলতে ব্যর্থ হলে ওই বাহ্যিক রোজার কোনো মূল্য বা সওয়াব পাওয়া যাবে না। এক হাদিসে রাসুলে করিম (স.) বলেছেন : বহু রোজাদার এমন আছে যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা আর পিঁপাসার কষ্ট ছাড়া অন্য কিছুই অর্জিত হয় না। অর্থাৎ তারা রোজার বিনিময়ে কোনো পুণ্য বা সওয়াব পায় না। ( মুসনাদে আহমাদ : ৯৬৮৫, সুনানে দারামি : ২৯২৩, সুনানে ইবনে মাজা : ১৬৯, আস্-সুনানুল কুবরা : ৩২৩৬ ) যে সমস্ত বিষয় রোজার পুণ্যকে নষ্ট করে দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো অশ্লীলতা।
রোজোর যে সীমাহীন ফজিলতের কথা হাদিসে বলা হয়েছে, সেটা কিন্তু একেবারে শর্তহীন নয়। বরং আচরণ ও চরিত্রকে অশালীনতামুক্ত করা একটি অপরিহার্য শর্ত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন : রোজাদার বনি আদমের প্রত্যেকটি আমলের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ বলেছেন, রোজা শুধুই আমার জন্য আর আমি নিজে এর পুরস্কার প্রদান করব। কেননা সে (রোজাদার) তার শাহওয়াত (যৌবিক তাড়না ) ও খাদ্যকে শুধু আমার (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য বর্জন করে। (সহিহ আল-বোখারি : ৫৯২৭, সহিহ মুসলিম : ১১৫১, ইবনে মাজা : ১৬৩৭, মুসনাদে আহমাদ : ৯৭১২, মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৮৮৯৪)। হাদিসের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুমিন বান্দাকে রোজার জন্য অসীম পুরস্কার দান করবেন তখনই, যখন সে রোজা রাখার মাধ্যমে তার যৌবিক ক্ষুধাকে দমন করতে পারবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের সমাজে বেপর্দা, বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা অত্যন্ত মারাত্মক পর্যায়ে নেমে গেছে। রোজা ও রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে সকল প্রকারের অশ্লীলতাকে দমন করা জরুরি। কারণ অশ্লীলতা আমাদের সমাজে জন্য সাংঘাতিক বেমানান। অপরদিকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এবং রোজাদারের রোযা পরিপূর্ণ করারর জন্য অশ্লীলতা দমন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। অশ্লীলতা রোজাকে দুর্বল ও সওয়াব শূন্য করে দেয়।
অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা এবং বেপর্দা সম্পর্কে কিছু বললেই অনেকে ধরে নেন, নারীর অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হলো। আসলে বেপর্দা আর অশালীনতার সঙ্গে নারীর অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামে পোশাকের বিধান হলো, যৌনাঙ্গকে আবৃত করা এবং নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা। কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের চিন্তা সম্পূর্ণ উল্টো। তারা পোশাকের মাধ্যমে নিজের যৌনাঙ্গকে প্রকাশ করাকেই সৌন্দর্য বলে মনে করেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে আর অবতীর্ণ করেছি সৌন্দর্যের পোশাক এবং পরহেজগারির পোশাক আর এটিই সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সুরা আল-আরাফ ২৬)।
মোট কথা হলো নারী হোক বা পুরুষ নিজের যৌনাঙ্গ ও তার আকৃতি জনসমক্ষে প্রদর্শন কারা চরম অশালীনতা। সঙ্গে সঙ্গে অশালীন কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গি সবই ইসলামী শরিয়তে হারাম। পুরুষ যেমন তার প্রয়োজনে বিচরণ করবে তেমনি নারীও তার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে এখানে ইসলামী বিধানে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। ইসলাম নারীকে যেমন তার শরীর আবৃত করে পোশাক পরতে বলেছে, তেমনি পুরুষকেও বলেছে একই কথা। সুতরাং নারী-পুরুষ সবার জন্য শালীনতা রক্ষা করা অপরিহার্য; বিশেষ করে মাহে রমজান ও রোজার পবিত্রতা রক্ষার জন্য সমাজ থেকে সকল প্রকার অশ্লীলতা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কর্তব্য। Web Desk

যে ৮টি কারণে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে! জানেন?


তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে যারা একটু জানেন তাদের সবারই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কারও কারও তো একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। যেখানে ব্যক্তি নিজের আবেগ, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বন্ধুদের। আবার না বলা কথাগুলোও জানিয়ে দিতে পারেন এই ফেসবুকেই। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করতে করতে আমরা কিছু বিষয়ে নজর দেই না। যে কারণে আমাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।
ফেসবুক যেখানে ব্যক্তিকে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে, সেখানেই ঠিকমতো ব্যবহার না করার কারণে সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই জেনে নেই ঠিক কী কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে –
১. অনেক সংখ্যক ওয়াল পোস্ট করলে এবং সেই ওয়াল পোস্ট একাধিক গ্রুপে শেয়ার করলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।
২. টাইপিংয়ের কসরত কমাতে মেসেজে একই টেক্সট বারংবার টাইপ করলে ব্লক হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট।
৩. ফেক অ্যাকাউন্ট বানালে সেটি ফেসবুক ব্লক করে দেয় নির্দিষ্ট সময় পর।
৪. ২০০টির বেশি গ্রুপ জয়েন করলে ব্লক হতে পারে অ্যাকাউন্ট।
৫. একই দিনে একসঙ্গে ১০০ থেকে ৫ হাজারটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে ফেসবুক ব্লক করে দিতে পারে অ্যাকাউন্ট।
৬. বেআইনি বিষয়বস্তু পোস্ট করলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। কোনও ব্যক্তির উদ্দেশ্যে, ধর্মের বিরুদ্ধে কোনও কিছু পোস্ট করলে ব্লক হয়ে যেতে পারে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
৭. অ্যাডাল্ট বিষয়বস্তু, লাগাতার খারাপ ছবি পোস্ট করলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হতে পারে।
৮. কোনও ব্যক্তিকে বারবার পোক করলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৯. অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে তা জেনে যায় ফেসবুক সার্ভার। সেটি ব্লক হয়ে যায়।
১০. বারবার ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে খোলার চেষ্টা করলেও হতে পারে অ্যাকাউন্ট ব্লক।
১১. ব্যক্তির কোনও প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন বারংবার পোস্ট করলেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে। Web Desk

Metal Texture tutorial Photoshop CC

Metal Texture tutorial Photoshop CC






 Background- 01


Background- 01



Metal Texture Logo For youtube, Gmail etc Photoshop Tutorial

Subscribe For More Tutorial: http://bit.ly/1XWA4DQ

Part of the BroadbandTV Network
Click here:http://bit.ly/1UiK88L

Official Blog: www.graphicmediabd.blogspot.com

Official Facebook Page: http://bit.ly/1sT7cAC

Google+: http://bit.ly/1sT7OGq

Enjoy: Metal Texture tutorial Photoshop CC

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, Amazon Affiliate Marketing Bangla Tutorial

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? (What is Affiliate Marketing?)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) যদি বাংলায় বলতে যাই তা হল দালালি বা কমিশনে কাজ করা। দালালরা যা করে তা হল দুটি পক্ষের মধ্যে কথা বা কোন একটি চুক্তি করিয়ে দিবে তার জন্য্ তারা কমিশন নিবে। আ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও একই। আপনি তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিবেন। তারা এর জন্য আপনাকে কমিশন দিবে। অথ্যাৎ কমিশন ভিত্তিক বিক্রয় প্রক্রিয়াটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?(What is Amazon Affiliate Marketing?)

অ্যামাজন হল একটি জায়েন্ট ই-কমার্স সাইট। আপনার বা আপনার সাইট এর রেফারেন্স দিয়ে যদি অ্যামাজন এর প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেন তাহরে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। এটিই হল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Amazon Affiliate Marketing)।  অ্যমাজন এসোসিয়েট প্রোগ্রাম ই অ্যমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম।

কেন আমরা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করব ? (Why we do Amazon Affiliate Marketing?)

এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকতে কেন আমরা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করব। প্রথমত অ্যামাজনের সব প্রোডাক্টই মানসম্মত ও ভালো। অ্যামাজনের মার্কেটে সুনাম আছে এবং সবাই এটিকে চিনে। আপনি যখন একজন বায়ার অ্যামাজনে পাঠান তখন সে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে কোন প্রাডাক্টই কিনুক তার কমিশন আপনি পাবেন। এত আপনি ঐ প্রোডাক্টের মার্কেটিং না করেও তার কমিশন পেতে পারেন। এছাড়া অ্যামাজনে ট্রাফিক পাঠালে সে যেই প্রোডাক্ট টি কিনবে অ্যামাজন তার সাথে সাথে আরোও রিলেটেড আরোও প্রোডাক্ট সাজেস্ট করে। এথেকে সেল হলেও সেলের কমিশন আপনি পাবেন। এর ফলে আপনার কমিশন অনেক পরিমানে বৃদ্ধি পাবে। এই সুবিধা গুলোর জন্য আমারা অ্যামাজনে মার্কেটিং করব।

আমাদের এক্ষেত্রে কি পরিমান সময় ব্যয় করতে হবে ? (How much time you have to spent?)

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে প্রাধানত আপনার কাজের গতি ও স্কিল এর উপর নির্ভর করে। এক্সপার্টদের ক্ষেত্রে ১-২ ঘন্টা কাজ করলে হয়। মিড লেবেলের মার্কেটারদের ক্ষেত্রে ২-৪ ঘন্টা সময় দিলে হয়। এবং বিগেনারদের জন্য দিনে কমপক্ষে ৩-৫ ঘন্টা সময় দিলে ভালো।

আপনাকে কি পরিমান টাকা এতে ইনভেস্ট করতে হবে ? (How much money have to invest?)

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যদি সব কাজ আপনি নিজে করেন তাহলে শুধু ডোমেইন ও হোস্টিং এর খরচ প্রয়োজন হবে। সাধারনত $৫০০ ডলার এর বাজেট নিয়ে শুরু করলে ভালো করতে পারবেন। এছাড়া অ্যামাজন নিশ সাইট করার সম্পূর্ণ খরচ সম্পর্কে পডুন Amazon Niche Site Budget

আমারা তাদের কাছ থেকে কিভাবে পেমেন্টে নিতে পারি? (How we will get payment from amazon?)

আমরা তিনটি উপায়ে অ্যামাজন থেকে পেমেন্ট পেতে পারি।
১. অ্যামাজন গিফ্ট কার্ডের মাধ্যমে।
২. ডায়রেক্ট ব্যাংক ডিপোজিট।
৩. চেকের মাধ্যমে।
আমরা ১ ও ৩ দিয়ে পেমেন্ট নিতে পারব না কারন বাংলাদেশে সাপোর্টেড না। আমরা ২ নং মেথড ব্যবহার করে Payoneer এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিব। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০$ হলে আমরা পেমেন্ট নিতে পারব।

কিভাবে আমরা অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলব? (How to open Amazon Affiliate Account?)

আপনি http://afiiliate-program.amazon.com লিঙ্কটিতে গিয়ে join Now বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর রেজিস্টার ফর্ম পাবেন। ফর্মটি পূরন করে সাবমিট করে দিন, ব্যাস হয়ে গেল অম্যাজন অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট।
 Web Desk



মহান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণের নিদর্শন


আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং দিন-রাত্রির আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।’ (সূরা আল-ইমরান, আয়াত : ১৯০)। মানুষ জ্ঞানসম্পন্ন জীব। সে যদি তার বিবেক ও জ্ঞান দিয়ে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি লক্ষ্য করে তবে প্রতি মুহূর্তে সে পেয়ে যাবে স্রষ্টার নিদর্শন। আমাদের পৃথিবীর দিকে যদি দৃষ্টি দেই তবে দেখতে পাই পৃথিবী গোলাকার। ধরা যাক পৃথিবী একটি ফুটবলের মতো। ফুটবলের ওপর যদি কতগুলো পিপীলিকা ছেড়ে দেয়া হয় পিপীলিকাগুলো যেমনি ফুটবলের চামড়ার ওপর চলাচল করবে আমরাও তেমনি গোলাকার এ পৃথিবীর ভূ-ত্বক তথা পৃথিবীর উপর-নিচ ও পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছি। আমরা যদি লাফ দেই তবে পৃথিবী থেকে শূন্যে উঠে যাব। এমনিভাবে কোনো আকাশ যানে করে পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যের দিকে চলে যেতে সক্ষম হব। প্রশ্ন হতে পারে, গোলাকার পৃথিবীর চারদিকে যেহেতু আমরা রয়েছি পাশে যারা রয়েছে তারা তাদের ঘরবাড়িসহ কাত হয়ে হেলে যাওয়া, নিচে যারা তারা নিচের দিকে পড়ে যাওয়া থেকে কীভাবে রক্ষা পাই? জবাবে বলা যায়, একটি চৌম্বকের গোলক তার উপর নিচ পার্শ্ব যেখানেই লোহার টুকরা রাখা হয় তা পড়বে না। ঠিক তেমনি আল্লাহপাক পৃথিবীকে দিয়েছেন একটি চৌম্বক শক্তি বা মধ্যাকর্ষণ শক্তি। যার কারণে পৃথিবী সব অংশের সব বস্তুকে আঁকড়ে ধরে রাখছে। সাধারণ চৌম্বক অ্যালুমিনিয়াম বা এ জাতীয় অনেক বস্তুকে আকর্ষণ করে না কিন্তু পৃথিবী সব বস্তুকেই আকর্ষণ করে। পৃথিবীতে যে পরিমাণ চৌম্বক শক্তি দেয়া হয়েছে যদি তার চেয়ে বেশি হতো তবে আমাদের চলাচলে কষ্ট হতো, দ্রুতগামী যানবাহন আবিষ্কার কষ্টকর হতো। আর চৌম্বক শক্তি যদি কম হতো তবে চলার পথে বাতাসের ধাক্কায় হয়তো আমরা পড়ে যেতাম। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিছানা যাতে তোমরা তার প্রশস্ত পথে চলাফেরা করতে পার।’ (সূরা নূহ, আয়াত : ২০-২১)। যে পরিমাণ চৌম্বক শক্তি আমাদের চলাচলের উপযোগী ঠিক সে পরিমাণ চৌম্বক শক্তি পৃথিবীর ধারণ করা স্রষ্টার অন্যতম নিদর্শন। আরও অবাক করা ব্যাপার হল পৃথিবীর কিসে এ চৌম্বক শক্তি বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা সাধারণভাবে বলব, এটা আল্লাহর নির্দেশ বৈ অন্য কিছু নয়। যদি আরও একটু চিন্তা করি পৃথিবীকে গোলাকার করে চৌম্বক শক্তি দিয়ে আমাদের এর চামড়ার ওপর বসবাসের উপযোগী করে রেখে দিয়ে পৃথিবীর ভেতরে কী দিলেন? আমরা জানি সূর্যের কিরণে প্রতিদিন সাগর, মহাসাগর, নদীনালা থেকে বিপুল পরিমাণ পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। এ পানি যদি মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যেত তবে পৃথিবী পানিশূন্য হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহপাক পৃথিবীর চারদিকে মহাশূন্যের দিকে যেতে বাতাসের কতগুলো স্তর বিন্যাস করেছেন। একটি স্তরের বাতাস খুব ঠাণ্ডা। জলীয় বাষ্প সে বাতাসের স্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে শীতকালে বাতাসের বাষ্প যেমনি কুয়াশা হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায় তেমনি মেঘে পরিণত হয়। ফলে আর উপরে উঠতে পারে না। বিমানে বিদেশ যারা গেছেন এবং জানালার পাশে বসেছেন তারা দেখেছেন বিমান যখন মেঘের স্তরের উপরে উঠে যায় তখন নিচের মেঘমালাকে তুলার মতো, বরফের পাহাড়ের মতো অপরূপ সুন্দর দেখা যায়। যেখানে আল্লাহপাক বৃষ্টিবর্ষণ করাবেন সেখানে ওই স্তরের ভাসমান বাষ্পীয় কণাগুলোকে একটু বড় করে দেন। ফলে সেগুলো আর বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি দেখ না যে পানি তোমরা পান কর তা তোমরা মেঘমালা থেকে বর্ষণ কর না আমি বর্ষণ করি।’ (সূরা ওয়াকিয়াহ, আয়াত : ৬৯)।আমরা কি কখনও চিন্তা করেছি বায়ুস্তরের মেঘমালার ওই স্তরকে কেন ঠাণ্ডা করে রাখা হয়েছে? পৃথিবীতে বৃষ্টিবর্ষণের পর মাটির স্তরকে এমনভাবে ফিল্টারের ন্যায় করেছেন যাতে পানি মাটি ভেদ করে ধীরে ধীরে বিশুদ্ধ হয়ে গোলাকার পৃথিবীর ভেতর জমা হয়। আর আল্লাহ বাতাসকে পদার্থ করেছেন যেন পাম্প করে নলকূপের মাধ্যমে বান্দা সে পানি তুলে পান করতে পারে। শুধু তাই নয়, যানবাহন কলকারখানা চলতে হলে প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন। গোলাকার পৃথিবীর ভেতর রেখেছেন জ্বালানি তেল, গ্যাস ইত্যাদির খনি। যানবাহন শিল্প কারখানা তৈরিতে প্রচুর লোহা প্রয়োজন। পৃথিবীর ভেতর রয়েছে লোহার খনি। তা ছাড়া কয়লা, স্বর্ণ ইত্যাদি মানব জীবনে যত কিছুর প্রয়োজন এবং কিয়ামত পর্যন্ত প্রয়োজন হবে গোলাকার করে পৃথিবী সৃষ্টি করে তার ভেতর সবকিছু দিয়ে পরিপূর্ণ করে মানুষকে রাখলেন চৌম্বক শক্তি দিয়ে ভূ-ত্বকের উপরে। সব খনিজ সম্পদ পৃথিবীর ভেতরে অবস্থান করলেও একটি অপরটির সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে না। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি দেখবে না দয়াময় স্রষ্টার সৃষ্টিতে কোনো বৈষম্য বারবার তাকিয়ে দেখ তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।’ (সূরা মুলক, আয়াত : ৪)। একসঙ্গে কয়েকটি ফুটবলকে লাথি মেরে শূন্যে প্রেরণ করলে যেমনি শূন্যে উঠে যাবে; তেমনি পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র সবকিছু শূন্যে ভাসমান। চাঁদে গিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকালে পৃথিবীকে একটি তারার মতো দেখা যাবে। যেমনিভাবে আমরা অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রকে তারার মতো জ্বলতে দেখি। পৃথিবীকে শূন্যের মধ্যে সূর্য থেকে যে দূরত্বে রাখা হয়েছে যদি আরও কাছে থাকত তবে সূর্যের তাপে জ্বলে যেত। যদি বেশি দূরে রাখা হতো তবে ঠাণ্ডায় বরফ হয়ে যেত। সূর্যের দিকে পৃথিবীর যে অংশ সে অংশ আলোকিত দিন। অপর অংশে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না তাই সেখানে অন্ধকার রাত। এভাবে যদি থেকে যেত তবে জীবনযাত্রা অচল হয়ে যেত। আল্লাহ পৃথিবীকে স্বীয় স্থানে ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘুরতে নির্দেশ দিলেন (আহ্নিকগতি)। এ ঘূর্ণনের ফলে আলোর দিক অন্ধকারের দিকে অন্ধকারের দিক আলোর দিকে গিয়ে দিনরাত হচ্ছে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ দিন ও রাতের পরিবর্তন সাধন করেন। নিশ্চয় এতে চক্ষুষ্মানদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।’ (সূরা নূর, আয়াত : ৪৪)। অপরদিকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আপন কক্ষপথে সূর্যের চারদিক ঘুরতে (বার্ষিকগতি) পৃথিবীর লাগে ৩৬৫ দিন। কক্ষপথে এ ঘূর্ণনের ফলে বিভিন্ন ঋতুর আগমন হয়। ফলে মানুষ তার উপযোগী ফলফলাদি শাকসবজি পেয়ে খাদ্য চাহিদা মেটায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। দৈনিক ঘূর্ণন ও কক্ষপথে পরিভ্রমণের ফলে দিনরাত হচ্ছে, ৩৬৫ দিনে কোন তারিখে কয়টায় সূর্য উঠবে, কয়টায় অস্ত যাবে তার রয়েছে নির্দিষ্ট সময়, এক সেকেন্ড সময়ও ব্যতিক্রম হয় না। এ কারণে রমজানের শুরুতেই পেয়ে যাই পুরো মাসের সেহরি-ইফতারের সময়সূচি। এমনকি এর ফলেই তৈরি করা সম্ভব হয়েছে চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার। শুধু পৃথিবী নয় চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারকা, ধুমকেতু সবাই মহাশূন্যে আপন কক্ষপথে ঘুরছে। কিন্তু একটির সঙ্গে অপরটির সংঘর্ষ হচ্ছে না। আল্লাহ বলেন, ‘সূর্য তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে ভ্রমণ করে। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। চন্দ্রের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বিভিন্ন মঞ্জিল, অবশেষে সে খেজুর শাখার ন্যায় হয়ে যায়। সূর্যের উপযোগিতা নেই চন্দ্রকে ধরার, আর না দিন রাত্রিকে অতিক্রম করে যেতে পারে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে ভ্রমণ করছে।’ (সূরা ইয়াছিন, আয়াত : ৩৮-৪০)। যখন গ্রহ-নক্ষত্র ও কক্ষপথ সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না তখন কোরআন সুস্পষ্টভাবে গ্রহ-নক্ষত্রের কক্ষপথে ভ্রমণের যে বর্ণনা দিয়েছে তা আল্লাহর অপূর্ব নিদর্শন।
 Web Desk
 লেখক : অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা
 লাকসাম, কুমিল্লা

অনলাইন ব্যবসায় সেরা ৫ ক্যারিয়ার


অনলাইন ব্যবসার বিষয়টি দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুধু জনপ্রিয়ই নয়, অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ নিজের নিশ্চিত সুন্দর এবং সফল একটি ক্যারিয়ারও দেখতে পাচ্ছে। অনলাইনে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায় আজ আটকে নেই কেউ। রোজ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে নামছে অনেকেই। যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে নামছেন, তাদের অধিকাংশই নিজের ব্যবসাকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে ধরেই নামছেন। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা হচ্ছে অনলাইনে, কেউ ফেসবুক পেজে, কেউ বড় পরিসরে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন, কেউ বা আবার নির্দিষ্ট কিছু বড় ওয়েবসাইটের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কাজ প্রদানের ব্যবসাও করছেন। তাই সময়টা এখন আসলেই অনলাইন ব্যবসার। এবারের ক্যারিয়ারের মূল ফিচারে তুলে ধরা হলো সময়ের অন্যতম ৫টি সেরা অনলাইন ব্যবসা। যেই ব্যবসাকে আপনি আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।

ই-কমার্স 
এই মুহূর্তে অনলাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহƒত ব্যবসাই হচ্ছে ই-কমার্স। অনলাইনের মাধ্যমে কেনা-বেচা। শপিং মলে গিয়ে শপিং করার পুরোপুরি ফ্লেভার না থাকলেও গ্রাহকরা অনলাইনে নিজের পছন্দমতো প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার করছে, বাসায় বসেই ডেলিভারি পাচ্ছে। ইচ্ছে হলে পরবর্তীতে পণ্যটি ফেরত দেওয়া কিংবা বদলানোর সুযোগও থাকে। আমাদের দেশেও এখন অনেকগুলো ই-কমার্সের ব্যবসা রয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ই-কমার্সের ব্যবসাটি যতটা জনপ্রিয় হয়েছে, সেই তুলনায় আমাদের দেশে কিছুই না। এর বড় কারণ হলো মার্কেটিং, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চয়তাসহ গ্রাহক সেবা। কিছু কিছু অনলাইনের দূর্নীতির জন্য অনেকেই অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে ভয় পান। তবে হ্যাঁ, ই-কমার্স মার্কেটের বিকল্প নেই ভবিষ্যতে। তাই একটি গ্রাহকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে, তার সেবা নিশ্চয়তা দিতে যা যা করণীয় এর সব কিছু যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন। পাশাপাশি এর মার্কেটিংটাও যদি আপনি বড় আকারে করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এই পেশায় সফল একজন হতে পারবেন। এই ব্যবসাকে ক্যারিয়ার হিসেবে ধরে অনেক দূর এগিয়েও যেতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি ব্যবসা, যেখানে নিজের কোনো পূঁজি থাকার একদমই প্রয়োজন নেই। যেমন ধরুন গত ৩ দিন ধরে আপনার ঠান্ডা জ্বর। ডাক্তারের কাছে গেলেন চিকিৎসার জন্য। ডাক্তার আপনাকে কিছুক্ষণ দেখে বললেন, কিছু মেডিকেল টেস্ট করা লাগবে। টেস্টের ফলাফল না দেখে আমি কোন ঔষধ দিতে পারব না। সাথে বলে দিলেন এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্টগুলো করাতে। ডাক্তার কেন এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম বললেন? তিনি তো অন্য কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামও বলতে পারতেন। এর কারণ হলোÑপূর্ব থেকে ডাক্তারের সাথে এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চুক্তি রয়েছে, যেখানে বলা ছিল- ডাক্তারের রেফারেন্সে যত রোগী এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসবেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকার উপর নির্দিষ্ট হারের কমিশন ডাক্তারকে দেওয়া হবে। ডাক্তার এই যে রোগীকে একটি রেফারেল দিয়ে নির্দিষ্ট অর্থ আয় করলেন এটিই উক্ত ডাক্তারের অ্যাফিলিয়েট আয়।

ওয়েব ডিজাইনিং
আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন এবং ঐঞগখ সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে ওয়েব ডিজাইন করার কাজটিকে ব্যবসা হিসেবে নিতে পারেন। এখন এমন অনেকে অনলাইনে ব্যবসা করছেন যারা অচিরেই অয়েবসাইট খুলতে আগ্রহী। যাদের ওয়েবসাইট আছে, তাদেরও অনেকের সাইট অনেক দূর্বল ডিজাইনের কারণে আকর্ষনীয় হচ্ছে না। অনলাইনে থিম ফরেস্ট, প্রিমিয়াম সাইটসহ এ ধরনের অনেক ই-কমার্স সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার বানানো ওয়েব টেমপ্লেটটি কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রি করতে পারবেন। একই টেমপ্লেট বহুবারও বিক্রি হয় এসব সাইটে। তাই এই বাজারটি ধরার এখনই মুখ্য সময়।

মার্কেট প্লেস থেকে আয়
অনলাইনে ফাইভআর-এর মতো অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি যে ধরনের কাজ জানেন সেই কাজটিই করতে পারবেন। একজন কার্টুনিস্ট থেকে শুরু করে, ছবি এডিট, ডিজাইনসহ যত ধরনের অনলাইনভিত্তিক কাজ রয়েছে সবই করতে পারবেন। আপনি শুধু আপনার কাজের কিছু পোর্টফোলিও আপলোড করে রাখলেই আপনার কাজ দেখে আপনার কাছ থেকে তার কাক্সিক্ষত কাজটি করিয়ে নেবে। এখানে নিয়মিতই কাজ করা যায়, একে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে কাজ করছে অসংখ্য লোকজন।

ই-বুক লেখা
অনেক লেখক আছেন যারা বই লেখেন কিন্তু প্রকাশকরা তাদের বই প্রকাশ করছেন না বলে থেমে আছেন। মানুষ কিন্তু এখন কাগজের বইয়ের বাইরে অনলাইনে বই পড়তে প্রকটভাবে আগ্রহী হচ্ছে। খুবই কম খরচে ই-বুক হিসেবে নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারেন। নিজের মেধাকে প্রকাশিত করে পরিচিতি বাড়াতে পারেন সহজেই এই পেশার মাধ্যমে। ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারলে এর বাজার এখন অনেক বড়।

[Collected From Web]

মোহাম্মদ আলীর সংক্ষিপ্ত জীবনী


জন্ম : ১৯৪২ সালের ১৭ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের লুইভিলে খ্রিস্ট্রান পরিবারে।
পারিবারিক নাম : ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে।
জাতীয়তা : মার্কিন।
ধর্ম : ১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ধর্মান্তরিত নাম : মোহাম্মদ আলী।
উচ্চতা: ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি।
বক্সিং রেকর্ড :  মোট ৬১টি লড়াইয়ের মধ্যে ৫৬টিতেই জিতেছেন। এর মধ্যে ৩৭টি লড়াইয়ে জিতেছেন প্রতিপক্ষকে নকআউট করে। হেরেছেন মাত্র ৫ বার।
শিরোপা : ৩ বার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয়কারী বক্সিং ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়ার। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকের লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজয়ী।
উপাধী : সর্বকালের সেরা বক্সার, কিং অব বক্সিং, দ্য গ্রেটেস্ট, ফাইটার অব দ্য ইয়ার, স্পোর্টসম্যান অব দ্য ইয়ার, স্পোর্টসম্যান অব দ্য সেঞ্চুরি, স্পোর্টস পারসোনালিটি অব দ্য সেঞ্চুরি।
স্ত্রী ও সন্তান : ৪ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। মোহাম্মদ আলী ৭ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। বর্তমান স্ত্রীর নাম লোনি আলী।
প্রস্থান : ০৪ জুন ২০১৬

বিড ছাড়া ফ্রীলান্সিং করুন, আউটসোর্সিং এ সফল হউন।


ফ্রীলান্সিং করতে গেলে ই আমরা একটা শব্দর সাথে অনেক ভাল ভাবে পরিচিত সেটা হচ্ছে বিড (Bid) করা। কত রকম এর যে দ্বিধা আছে এই বিড নিয়ে। কি ভাবে বিড করে, কখন বিড করলে ভাল হয়, কতজন বিড করলে আর বিড করা যাবে না, জব পোস্ট হউয়ার কত সময়ের মধ্যে বিড করতে হবে, আরও অনেক প্রশ্ন। তারপর ও হতাশ জতে হয়, বিড এর ব্যাপার আসলে কাভার লেটার এর ব্যাপার চলে আসে তৈরি হয় আরও দ্বিধা। এখন প্রশ্ন আসে কিভাবে কাভার লেটার লিখতে হবে, কি কি লিখতে হবে, কি কি লিখা যাবে না, আরও হরেক রকমের প্রশ্ন। তৈরি হয় নানা টিউটোরিয়াল, লেখা কত আর্টিকেল তারপর তো সব সমস্যার সমাধান হয় না।

কেন হয়না সমস্যার সমাধান

আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনি কাজ পাচ্ছেন না শুধু মাত্র ঠিক মতো বিড করতে পারছেন না অথবা ঠিক মতো কাভার লেটার লিখতে পারছেন না সে জন্য তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আপনি যদি মনে করেন আপনার কাজের মান ভাল না তাই আপনি কাজ পাচ্ছেন না সেটাও পুরাপুরি ঠিক না। আপনি নিজে ই চিন্তা করুন, আপনি এমন এক জায়গায় বিড করছেন যেখানে সাড়া পৃথিবীর মানুষ বিড করবে, তাই আপনার প্রতিযোগিতা সাড়া পৃথিবীর মানুষ এর সাথে, তাই সে প্রতিযোগীতা জিতা যে খুব সহজ সেরকম মনে করার কোন কারন আছে কি?
আপনার সাথে আরও ১৫০-২০০ মানুষ যদি একটা জব এর জন্য আপ্প্য করে তাহলে ব্যাপারটা অনেকটা লটারির মতো হয়ে গেল না? কারন বায়ার তো একজনকে নির্বাচন করবে আর সেটা করলে যারা তার জব এর জন্য যোগ্য তাদের মধ্যে ও তো অনেকে বাদ পরে যাবে আর সেটা আপনি ও হতে পারেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই নিজের ভুল সব সময় খুজে বের না করে একটু অন্যভাবে দেখা যাক।

কেমন হয় যদি বিড ছাড়া কাজ করা যায়?

কেমন হয় যদি আপনি কোন রকম বিড ছাড়া ই কাজ পেয়ে যান অথবা আপনার কাজটি বিক্রি করে টাকা পান?
কেমন হয় যখন আপনি আপনার নিজের মতো ডিজাইন করবেন, কোন বায়ার এর কথা শুনতে হবে না, কোন বায়ার এর চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে কাজ করবেন, এরপর বায়ার এর যে কাজ ভাল লাগবে সে কাজ বেঁছে নিবে?
স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে কি? হতে ই পারে কারন আমরা যারা আউটসোর্চিং করি তারা মনে হয় চিন্তা ও করতে পারি না এই দুইটা ব্যাপার। কারন আউটসোর্সিং এর মার্কেটপ্লেসগুলি ই এমন, বিড করে কাজ আনতে হবে, তারপর বায়ার এর চাহিদা মতো কাজ করে দিতে হবে।

কোথায় করবেন বিড ছাড়া কাজ

Graphicriver.net হোল সেরকম একটা ওয়েবসাইট যেখানে আপনার বিড করা লাগবে না, আর সব কাজ বায়ার এর পছন্দ মতো ও করা লাগবে না। আপনি বিড ছাড়া এবং নিজের পছন্দ মতো কাজ করে আপনি আপনার ডিজাইন সেল করতে পারবেন এবং টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিভাবে? সেটা বলি

কিভাবে কাজ করে গ্রাফিক রিভার

মনে করেন আপনি একটা শপিংমল এ গেলেন, সেখানে বিভিন্ন দোকানে নানা ধরনের প্রোডাক্ট আছে, আপনি বিভিন্ন দোকান দেখবেন, ঘুরবেন পছন্দ করবেন তারপর কিনবেন। তাই তো? এরকম এ তো হউয়ার কথা শপিং এ। গ্রাফিক রিভার এ ঠিক এক ই ভাবে কাজটি হবে। আপনি একটি ডিজাইন গ্রাফিক রিভার এ দিবেন, গ্রাফিক রিভার যদি সেই ডিজাইন গ্রহন করে তাহলে সেটা মার্কেট প্লেস এ চলে আসবে, আর সেই মার্কেট প্লেস এ প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা শপিং করার জন্য যায়। এইটা কে আমরা অনলাইন শপিং বলতে পারি। বিভিন্ন ক্রেতা গিয়ে সেখান থেকে তার পছন্দ মতো জিনিস কিনে আনে। আর এখানে সুবিধা হোল আপনি আপনার একটা প্রোডাক্ট অনেক জনের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

কি ধরনের কাজ আছে সেখানে

যেমন, বিজনেস কার্ড, লোগো, ব্যানার, লিফটলেট আরও অনেক কিছু। আপনি যদি সুন্দর করে ডিজাইন করতে পারেন, তাহলে বায়ার আপনার ডিজাইন ও কিনবে। এখানে কোন বিড করতে হবে না, বায়ার এর সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ করা লাগবে না, আপনি গ্রাফিক রিভার এ ডিজাইন সাবমিট করবেন, তাদের একটা রিভিউ টিম আছে তারা দেখবে আপনার ডিজাইন সব কিছু ঠিক আছে কিনা। কারন এখানে যেহেতু আপনি অথবা বায়ার কেউ ই কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না, তাই সে রিভিউ টিম এইটা নিশ্চিত করে বায়ার যদি আপনার ডিজাইন কিনে তাহলে সে সেটা ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারবে কিনা। আপনার ডিজাইন এ ছোট খাট ভুল থাকলে তারা যেভাবে বলবে ঠিক করে দিবেন, তবে সেখানে যদি ডিজাইন মান সম্মত না হয় তাহলে আপনার ডিজাইন গৃহীত হউয়ার সম্ভবনা থাকে না বললে ই চলে।

কিভাবে কাজ জমা দিবেন সেখানে

গ্রাফিক রিভার এ কাজ করতে চাইলে একাউন্ট খুলা লাগবে। আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, সেখানে আপনার ডিজাইন এর কিছু উদাহারন রাখতে পারবেন তাহলে আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে। আপনার ডিজাইন আপলোড করবেন। কিভাবে করবেন সেটার জন্য আর একটি লেখা দেয়ার চেষ্টা করবো। অথবা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেয়ার চেষ্টা করবো। ডিজাইন জমা দেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাফিক রিভার আপনাকে জানাবে আপনার ডিজাইন গ্রহন করা হোল কি হোল না, কিছু পরিবর্তন করা লাগবে কি, আর যদি একবার ই গ্রহন না হয় তাহলে কেন আপনার ডিজাইন গ্রহন হোল না সেটা আপনাকে জানানো হবে। যদি গ্রহন হয় তাহলে আপনার ডিজাইন মার্কেটপ্লেস এর একটি জায়গা দখল করে নিবে।

আপনি যদি একটা কি দুইটা মান সম্মত ডিজাইন জনপ্রিয় করে ফেলতে পারেন তাহলে দেখবেন সেই একটা কি দুইটা ডিজাইন ই বার বার সেল হচ্ছে আর আপনি প্রতি সেল এর জন্য টাকা পাচ্ছেন। তাই অনেক ডিজাইন না করে অল্প কিছু ডিজাইন করেন, কিন্তু খুব ভাল করে, সময় নিয়ে ডিজাইন করেন দেখবেন আপনার ডিজাইন গ্রাফিক রিভার গ্রহন করবে এবং আপনার ডিজাইন বিক্রি ও হবে, একবার দুইবার না অনেক অনেক বার।

যে ৫টি কাজ প্রতিদিন সকালে সফল মানুষেরা করে থাকেন


কথায় আছে “দিনের শুরু দেখে বলে দেওয়া যাবে দিনটি কেমন যাবে”। কথাটি অনেকাংশে সঠিক। দিনের শুরুটা যদি সঠিকভাবে শুরু করতে পারেন, তবে সারাদিনের কাজগুলো অনেক খানি সহজ হয়ে যাবে। সফল মানুষেরা তাদের দিনের শুরুটা কিছু কাজ করে শুরু করে থাকেন। এই কাজগুলো তাদের সাফল্য অর্জনে সাহায্য করে থাকে। ১। সকালে ঘুম থেকে ওঠা বেশির ভাগ সফল মানুষেরা ঘুম থেকে সকাল সকালই উঠে থাকেন। বেশিরভাগ সিইও সকাল ৬টার আগে বিছানা ত্যাগ করে থাকে। বিশ্বখ্যাত পানীয় পেপসির সিইও Indra Nooyi ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠেন এবং ৭টার মধ্যে তিনি অফিসে পৌঁছে থাকেন।   ২। ব্যায়াম সুস্থ থাকার অন্যতম পূর্ব শর্ত হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। দিনটি শুরু করুন ব্যায়াম করে। তা হতে জগিং হতে পারে। ঘুম থেকে উঠে কিছু সময়ের জন্য জগিং করে আসুন। খুব বেশি আলসেমি লাগলে ঘরে করে ফেলতে পারেন হালকা কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় এটি সারা দিনের কাজের এ্যানার্জি দিয়ে থাকবে। ৩। স্বাস্থ্যকর নাস্তা সকালের নাস্তাটা একটি সাফল্যজনক দিনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর নাস্তা সারাদিনে কাজের শক্তি প্রদান করে থাকে। আট-নয় ঘন্টা না খেয়ে থাকার পর আমাদের শরীরের একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তার প্রয়োজন রয়েছে। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল। নাস্তার টেবিলে নিজের পরিবারের সাথে কাটানো সময় আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে। ৪। দিনটি সম্পর্কে ধারণা করুন Benjamin Franklin বলেন “আপনার পরিকল্পনাগুলো যদি সফল না হয়, তবে বুঝতে হবে আপনি সঠিক পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন”। সারাদিনের পরিকল্পনাগুলো কয়েকবার করে চিন্তা করে নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে তার পর এরচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ এভাবে দিনের কাজগুলো সাজিয়ে নিন। গুরুত্ব অনুসারে কাজগুলো সম্পূর্ণ করুন। ৫। বিশ্বকে জানুন আপনার চারপাশে পৃথিবীতে কি হয়েছে সেটি জানুন। দিনে কমপক্ষে আধাঘন্টা খবরের কাগজ পড়ুন। আপনি যেই ধরণের কাজ করেন না কেন, বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান আপনাকে সাহায্য করবে। এই একটি বিষয় আপনাকে আর সবার থেকে আলাদা করে তুলবে।   জীবনে সফল্য অর্জনের নেই কোন সহজ পথ, নেই কোন শর্ট কার্ট উপায়। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আর নিয়মতান্ত্রিক দিনযাপনই কেবল দিতে পারে জীবনে সাফল্য। Web Desk.