আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং কি?

আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং শব্দ দুটি একইরকম মনে হলেও এদের মধ্যে বেশ কিছু  তপাৎ বিদ্ধমান। আউটসোর্সিং বলতে আমরা বুঝি ঘরে বসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করেআয় করা অপর দিকে ফ্রীলান্সিং হলো স্বাধীন ভাবে যে কোনো কাজ করা । যেখানে থাকবে না কোন অফিসিয়াল ঝামেলা কিংবা চাপ । এক কথায় নিজের ইচ্ছামত কাজ করাটাই হলোফ্রীলান্সিং । যেমন ব্যবসায় করা ইত্যাদি| আর যেহেতু internet এ কাজ করা নিজের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে, তাই আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং শব্দ দুটিকে একই অর্থে বেবহার করাযায়।

বর্তমান সময় এ আউটসোর্সিং অর্থ উপার্জনের খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে আমাদের মত স্বল্পউন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধুরজন্য আউটসোর্সিং খুবই গুরুত্বপুর ভুমিকা পালন করে আসছে । বর্তমানে দেশের পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে। শুনে ভালো লাগছে যে এখনBangladesh Association of Software and Information Services(BASIS) নারীদেরকে আউটসোর্সিং স্বীকৃতি সরূপ পুরস্কার প্রদানকরছে। এটা সুধু একজন নারীর গৌরবই নয়, এটি বাংলাদেশ ফ্রীলান্সিং পরিবার এর গৌরব ।
 লোভ হচ্চে তাই না? চলুন জেনে নিই ফ্রীলান্সিং এ যে যে সুবিধা পাবেন.....



  ফ্রীলান্সিং এর কিছু সুবিধা:

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যে কেউ খুব কম সময় এ অনেক বেশি আয় করতে পারে । যেটা অন্য কোনো পেশায় সম্ভব নয় । কিভাবে সেটা দেখেন:
মনে করুন আপনি একজন আমেরিকান ক্লায়েন্ট এর কাজ করতেচেন । আর এই কাজ এর জন্য সে আপনাকে $২০ দিবে. কিন্তু যখন আপনি এই $২০ কে টাকায় রূপান্তর করবেন তখন সেটা প্রায় ১৬০০ টাকার কাছাকাছি হয় যাবে.

১. কাজের  সুবিধা:
এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত কাজ করার সুবিধা পাবেন। আপনি যে কোনো জাগা থেকে যে কোনো সময় কাজ করতে পারবেন। এজন্য ধরা বাধা কোনো সময় মেপে কাজ করতে হবে না. আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনার সাথে ল্যাপটপ আর মডেম তা থাকলেই হলো। মনের মত কাজ করার একটা প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন।

২. সময়ের স্বাধীনতা:
আউটসোর্সিং এমন একটা পেশা যেখানে আপনি আপনার স্বাধীনতা বজায় রেখে কাজ করতে পারবেন। আপনার যখন ইচ্ছা হবে কাজ করবেন আর যখন ইচ্ছা হবে না তখন কাজ না করে বন্ধু দের সাতে আড্ডা দিন। কেউ আপনাকে মানা করবে না।
আমি বেক্তিগতভাবে কাজ করি রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত। তারপর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পারিবারিক কাজ এবং রাত ৯ টা পর্যন্ত ঘুম। এভাবে কাজ করতে সুবিধা হয় বলেই এভাবে কাজ করি।  কোনদিন ইচ্ছা হলো আজ রাতে কাজ না করে অন্য সময়ে করব, তাতেও কেউ নিষেধ করবে না।



আপনি কি কখনো  আপনার অফিস বস কে বলতে পারবেন আজ আমি সকালে অফিসে না গিয়ে সন্ধ্যায় যাব বা দুদিন অফিসে না গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো???

৩. স্থানের স্বাধীনতা:
এই ক্যারিয়ার এ আপনার অফিস হবে আপনার বাসায়। মনে করুন  আপনি  কোন একটি  চাকরি করেন কিংবা অন্য কোন ব্যবসা করেন, বেড়াতে ইচ্ছা হলেই যেতে পারবেন না। যদি চাকরি হয় তাহলে ছুটির জন্য Application করতে হবে আর অপেক্ষা ছাড়া তো উপায় নেই, অন্য দিকে ব্যবসা হলে প্রতিষ্ঠান ফেলে যেতে হবে। কিন্তু ফরেন কান্ট্রি গুলুর দিকে দেখুন| তারা বছরের পর বছর দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা যেখানে যায়  তাদের  অফিসও সেখানে। তাদের মত ফ্যামিলি  তৈরি তো দূরের কথা, এমন কিছু স্বপ্ন দেখতেও দ্বিধা হবে! একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার ল্যাপটপ আর একটা ছোট্ট ট্রাভেল ব্যাগই যথেষ্ট। আপনাকে অফিসে যেতে হবে না, বরং অফিসই আপনার সাথে যাবে। কাজের জন্য আর কতটা  স্বাধীনতা চান?

No comments:

Post a Comment